অবশেষে ধরা পরলো শতাধীক মানুষের চরিত্র হরণকারী যুবক আবু শাহিন! বালিয়াডাঙ্গীর বাদামবাড়ী থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে।ব্লাক মেইলের পর টাকা আনতে গিয়ে ধরা পরলো।সব সময় তার টার্গেট সমাজের সম্মানী ব্যাক্তি কিংবা হুজুর টাইপের মানুষ।
সে ঠাকুরগাও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বড়গছিয়া গ্রামের মো. শহীদ (৫৫) এর ছেলে।
আজ একই ইউনিয়নের মশালডাঙ্গী গ্রামের মো.নজরুল ইসলামের ছেলে মানিক কে ব্লাক মেইলের পর টাকা আনতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন শাহিনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তার ব্লাক মেইলের ধরণ বা কৌশল সম্পূর্ণ ভিন্ন।প্রথমে ফেসবুক আইডি কিংবা ম্যাসেন্জারে সুন্দরী মেয়ের ছবিসহ ফেণ্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো।তার পর কথোপোকথন। ধীরে ধীরে গভীরতায় নিয়ে যাওয়া এবং ম্যাসেন্জারে যৌনাচারে উত্তেজিত করে বিবস্ত্র করা।এর পরই শুরু হয় ব্লাক মেইল।সম্মান বাঁচাতে গুনতে হতো লক্ষ লক্ষ টাকা।
সে সব সময় টার্গেট করতো সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,মাদরাসা,স্কুল,কলেজের শিক্ষক কিংবা মসজিদ মাদরাসার হুজুরদের।
কয়েক মাস আগেও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের এক হুজুরকে ব্লাক মেইল করলে সে সাংবাদিকদের সাহায্যে থানার মাধ্যমে রক্ষা পায়। সে সময় তার দাম্ভিকতা ছিল আকাশচুম্বী।পুলিশকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছিলো এই যুবক।
আসলে কী বাছাধন-“চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের একদিন।”
তাকে রিমান্ড নিয়ে আরো তথ্য উদঘাটনসহ বিচারের আবেদন এলাকাবাসীর।