রওশন জালালী, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের কামাতপাড়া এলাকায় আশীর্বাদের পর মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে লতা রানী নামে এক কনে। লতা রানী একই এলাকার অতুল চন্দ্র রায়ের কণ্যা। দুপুর ১টায় লতা রানী বাসার নিজ কক্ষে বিষ পান করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে লতা মারা যান। পরিবারের সদস্যরা জানান, লতা রানী ও একই ইউনিয়নের টাকাহারা এলাকার ললিত চন্দ্র রায়ের ছেলে নবদ্বীপ রায়ের মধ্যে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে লতার পরিবার থেকে নবদ্বীপের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম দিকে ছেলের পরিবার রাজি না হলেও পরে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। গত ১৪ মার্চ সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়। তবে আশীর্বাদের পর থেকে নবদ্বীপ লতাকে ফোন করে বিয়ে করবে না, বিয়ে হলেও ডিভোর্স দিবে, বিয়ের পর নির্যাতন করবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। ক্রমাগত নবদ্বীপের এমন আচরণে লতা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আত্মহত্যার আগে লতা একটি সুউসাইড নোট রেখে যায়। যাতে নবদ্বীপের একাধিক সম্পর্কে যুক্ত থাকা, লতাকে দুশ্চরিত্রা বলা, বিয়ের পর অত্যাচার ও ডিভোর্সের হুমকির কথা উল্লেখ করেন লতা। দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।