সংবাদদাতাঃএনামুল হাসান শরীফ(পৌরসভা প্রতিনিধি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহে ৬ বছর আগে স্ত্রী হ*ত্যা*র মামলায় স্বামী সাত্তার মিয়া নামক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।

গতবুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র দায়রা ও জেলা জর্জ শারমিন নিগান এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদন্প্রাপ্ত আসামী সাত্তার মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামের সানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাজী দিদারুল আলম।
আরো জানা যায় ২০১৮ সালে ২৮ই মে হিন্দুপাড়া গ্রামে ছুরির আঘাতে খুন হন ৪ সন্তানের জননি জোসনা বেগম নামক একনারী। জোসনা বেগম হলেন সাত্তার মিয়ার স্ত্রী এবং আব্দুল মান্নাফ মিয়ার মেয়ে।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাত্তার মিয়াসহ আরো চারজন এর নামে সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়। তখন সাত্তার মিয়াকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। সাত্তার মিয়া ১৬৪ ধারায় জবান বন্দিতে ছুরির আঘাতের কথা স্বীকার করে।একই বছর ৫ই নভেম্বর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চারজনের মধ্য থেকে সাত্তার মিয়াকে ছাড়া বাকি তিনজনের সংশ্লিষ্টতা ও প্রমান না পেয়ে সাত্তার মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার কাগজপত্র জমা করেন।অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।পাশাপাশি অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের পুলিশ প্রদর্শক দিদারুল আলম।
জোছনা বেগমের স্বামী তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত থাকেন স্বামী সাত্তার মিয়া।আর জেসনা বেগম বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝী এর কাজ করতেন।দীর্ঘদিন বাসা বাড়িতে কাজ করে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমিয়ে ছিলেন। সেই টাকা নেয়ার জন্য স্ত্রীর জোসনা বেগমকে প্রায়ই চাপ দিয়ে আসছিলেন। একদিন রাতে জোসনা বেগমকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হত্যা করা হয়। পরে পুলিশের কাছে আটকের পরে নিজ অপরাধ স্বীকার করেন। এই মামলায় জোসনা বেগম ও স্বামী সাত্তার মিয়া এর দুই সন্তান বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। এই মামলায় বাদি ছিলেন গৃহবধূর বাবা আব্দুল মান্নাফ