প্রিয় পাঠক, আসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা পরে জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২০২৩ নামে একটা বছর! তারপর ক্যালেন্ডারের নতুন পাতায় নতুন বছর। আর এই নতুন বছর নিয়ে আমাদের অনেক চিন্তা ভাবনা থাকতে পারে। তাই আমাদের নিয়ত ও জীবনের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কারন নিয়ত খুব পাওয়ারফুল। কথায় আছে, নিয়ত গুণে বরকত। অর্থাৎ আমরা আল্লাহর কাছে যা আশা করবো, যেমন ভাবে আশা করবো আল্লাহ আমাদের তেমনটিই দিবেন। তাই প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেনো আমাদের সকলের পিছনের সকল গুণাহ মাফ করে দেন। যে যেই ধর্মাবলম্বীর আছেন সবাই নিজ সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে শুরু করতে পারেন নতুন বছরটি। এছাড়াও ২০২৪ সালটি শুরু করতে পারেন উত্তম কোনো কাজ দিয়ে।
সবাই যেমন বনভোজন করছে আপনি চাইলে গরীব দুঃখীদের মাঝে খাবার বিলিয়ে, দান – সাদকাহর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নতুন বছর। এতে আপনার মন মানসিকতা ও ভালো হবে এবং আপনাকে দেখে অন্যরাও অনুপ্রেরণা পেতে পারে। হে আল্লাহ! ২০২৪ সালটি যেনো আমাদের কাছে অধিক রহমত পূর্ণ, বরকতময়, কল্যানকর, মঙ্গলজনক হয়, আমীন।
👉🏾আরেকটি জরুরি কথা না বললেই নয়। সেটা হলো আমরা নতুন বছরের আমেজ উপভোগ করতে যেয়ে অনেক সময় অনেকের ক্ষতি করে ফেলতে পারি। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ ৩১ ডিসেম্বর রাত উদযাপনে এলাকার কোনো বৃদ্ধ, শিশু বা কোনো অসুস্থ ব্যক্তির অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখাও আমাদের দায়িত্ব। অনেক রাত পর্যন্ত মাইক দিয়ে গান চালানো, অধিক হৈ – হুল্লোড়, চিৎকার – চেচামেচি, নাচ – গান – বাজনা, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির কারণে ছোট শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তির ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আবার হঠাৎ আতশবাজির শব্দে হার্টের রোগীদের সমস্যা হতে পারে।
এসব দিকে আমাদের বিবেচনা করা উচিত। মনে রাখতে হবে রাত ১২ টার পরে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানো আইনসম্মত না। এছাড়াও আতশবাজি বা ফানুস কিন্তু পাখিদের জন্যও ক্ষতিকর। তাই আমরা যেনো আনন্দ করতে গিয়ে অন্য জনের ক্ষতির কারন না হয়ে দাড়াই। মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই করা যাবে না। আনন্দ উৎসবের সাথে বিবেককেও জাগ্রত রাখতে হবে। নতুন বছরটি যেনো পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দমুখর সুন্দর হয়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
“হ্যাপী নিউ ইয়ার- 2024”
মো: আল ফয়সাল অনিক
“ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক”
দৈনিক উত্তরের চিত্র